বিশ্বায়নের এ যুগে প্রগতিশীল সমাজ গড়ে তোলার লক্ষ্যে নারীর অধিকার, ক্ষমতায়ন ও কর্মবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি অত্যাবশ্যক। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর রাষ্ট্র ও সমাজের মূল স্রোতধারায় নারী উন্নয়ন ও অধিকার প্রতিষ্ঠায়কাজ করে যাচ্ছে। গত 3 বছরে ভিজিডি কার্যক্রমের মাধ্যমে 7926 (ভিজিডি কর্মসূচি 2 বছরের চক্র) জন দরিদ্র মহিলাকে 2853.36মেঃ টন খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে। প্রায় 8973 জন নারীকে মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির ভাতা প্রদান করা হয়েছে। 105 জন নারীকে 15,75,000/- টাকা ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান করা হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে মহিলাদের জন্য আয় বর্ধক প্রশিক্ষণ (আইজিএ) প্রকল্পের মাধ্যমে 499 জন নারীকে বিউটিফিকেশন, ট্রেইলারিং ও ফ্যাশন ডিজাইন ট্রেডে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। সাহায্য প্রার্থী মহিলাদের আইনি সহায়তা দেয়া হয়েছে। “জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ” শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় প্রতিযোগিতার মাধ্যমে প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করে যে সমস্ত নারীরা সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছেন তাদের মধ্য থেকে উপজেলায় ৫টি ক্যাটাগরীতে 15 জন নারীকে “জয়িতা” নির্বাচন ও পুরস্কৃত করার মাধ্যমে নারীদেরকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে উদ্ভুদ্ধ করা হয়েছে। উদ্যোমী ও আগ্রহী নারীদেরকে উদ্যোগক্তা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। জেলা হতে বাল্যবিয়ে নিরোধে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার জনগণকে নিয়ে সচেতনতা মূলক সভা, সমাবেশ ও সেমিনার আয়োজন করা হয়েছে। প্রায় 14টি বাল্যবিয়ে বন্ধ করা হয়েছে। জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি-২০১১ বাস্তবায়ন কল্পে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা-২০১৩ অনুযায়ী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
সমস্যা এবং চ্যালেঞ্জসমূহ :
বাল্যবিবাহ, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ, লক্ষ্যভূক্ত সকল দুঃস্থ নারীকে প্রোগ্রামের অন্তর্ভূক্ত করতে না পারা, কর্মকর্তাদের যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের অভাব এবং মাঠ পর্যায়ে জনবলের অপ্রতুলতা অন্যতম প্রধান সমস্যা। প্রকৃত উপকারভোগী বাছাই এবং নারী উন্নয়নে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম সমন্বয় সাধন ও সহায়তা প্রদান এ অধিদপ্তরের অন্যতম চ্যালেঞ্জ।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস